আবারও দ্বিতীয় দফায় পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পদ্মার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙ্গন হুমকিতে রয়েছে শিবচরের চরাঞ্চলের একমাত্র সড়কটি। এই সড়কটি দিয়ে চরাঞ্চলের কাজিরসূরা থেকে প্রধান সড়কে আসার একমাত্র মাধ্যম। পাশাপাশি পদ্মার ভাঙনে হুমকিতে রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ও কাজীরসুরা বাজারের অর্ধ শতাধিক দোকানপাটসহ বিস্তীর্ন জনপদ।
পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। চরাঞ্চলের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে পানিবন্দী হয়ে পড়া পরিবারগুলো।
চলতি বন্যায় চরের বন্দরখোলা ইউনিয়নের নুরুদ্দিন মাদবরকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলা ভবন, চরজানাজাত ইউনিয়নের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক স্থাপনা ও ইউনিয়ন পরিষদ, কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের ৭৭নং কাঁঠালবাড়ি সরকারি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টারের তৃতীয় তলা ভবনটি বিলীন হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে পদ্মার পানি কমলেও গত এক সপ্তাহ ধরে আবারো পানি বাড়ছে। এতে করে শিবচরের পদ্মা তীরবর্তী চরাঞ্চলের ৩ ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন বেড়েছে। এরই মধ্যে ভয়াবহ রূপ নিয়ে কাজীরসুরা ২৬ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন কাম সাইক্লোন সেন্টারটি পদ্মায় বিলীন হয়।
তবে ভাঙ্গন কাছাকাছি চলে আসায় ২ সপ্তাহ আগে বন্যার্তদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
বন্দরখোলা ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বেপারী জানান, ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় পদ্মা নদীর পাশেই একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ কাজিরসুরা বাজারের অর্ধ শতাধিক দোকানপাটসহ বিস্তৃর্ণ জনপদ ভয়াবহ ভাঙ্গন ঝূকিতে রয়েছে। চলতি বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে শিবচরের চরাঞ্চলের চারটি বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।